ডাবল সেঞ্চুরিতে তামিমকে ছাড়িয়ে চূড়ায় মুশফিক


বাংলাদেশের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান তিনি। সর্বাধিক ডাবল সেঞ্চুরির মালিকও বটে। এবার সে সংখ্যাটা আরও বাড়ালেন দেশের অন্যতম সেরা এ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এদিন অসাধারণ ব্যাটিং করে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন এ ব্যাটসম্যান। আর তাতে তামিম ইকবালকে ছাড়িয়ে টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের চূড়ায় পৌঁছেছেন এ ব্যাটসম্যান। 
এদিন শুরু থেকেই দারুণ ব্যাট করতে থাকেন মুশফিক। আগের দিনের ৩২ রান নিয়ে খেলতে নেমে সকালে ৯৫ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন। এরপর ১৬০ বলে ছুঁয়েছেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে। আর ডাবল সেঞ্চুরির পথে ৩১৫টি বল মোকাবেলা করেন দেশ সেরা এ ব্যাটসম্যান। সময়ের হিসেবে ৪৩৪ মিনিট মাঠে ছিলেন তিনি। আর নিজের এ ইনিংসটি ২৮টি চারের সাহায্যে সাজিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ২০৩ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন মুশফিক।
এ ম্যাচে নামার আগে তামিম ইকবালের চেয়ে ১৬৪ রানে পিছিয়ে ছিলেন মুশফিক। এ ইনিংসে ৪১ রান করে ব্যবধান ১৯৫ রানে বাড়ান তামিম। তবে ডাবল সেঞ্চুরি করেই তামিমকে টপকে যান মুশফিক। সিকান্দার রাজার বলে সাফল করে সিঙ্গেল নিয়ে তামিমকে ছাড়ান। এর দুই ওভার পর সেই রাজার বলে কাট করে পয়েন্ট অঞ্চল দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ডাবলের দেখা পান লিটল মাস্টার।
টেস্টে এখন মুশফিকের সংগ্রহ ৪৪১৩ রান। ৭০ ম্যাচে ১৩০টি ইনিংস খেলে এ রান করেছেন তিনি। সেঞ্চুরি মোট ৭টি। হাফসেঞ্চুরি আছে ২১টি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা তামিমের সংগ্রহ ১১৫ ইনিংসে ৪৪০৫ রান।
ভারত সফরের আগেই গ্লাভস ছেড়েছিলেন মুশফিক। এরপর তার ছন্দটা যেন তখন আরও বেড়ে যায়। ভারতে সব ব্যাটসম্যানই যখন হিমশিম খাচ্ছিলেন সেখানে একাই প্রতিরোধ গড়েছিলেন। দুই টেস্টেই পেয়েছিলেন ফিফটির দেখা। এরপর মিরপুরে এদিন তো অনন্য মাইলফলকেই পৌঁছান। দায়িত্ব কমায় যে ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিতে পারছেন তার প্রমাণ রাখছেন মুশফিক।
এর আগে ২০১৩ সালের মার্চে শ্রীলঙ্কার মাটিতে দেশের হয়ে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিটি করেছিলেন মুশফিক। এরপর অবশ্য সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালও ডাবল হাঁকিয়ে তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তাদের ছাপিয়ে এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ২০১৮ সালের নভেম্বরে দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি করেন মুশফিক।

Post a Comment

0 Comments