স্বস্তির সেঞ্চুরিতে তামিমকে ছুঁলেন মুমিনুল

সোমবার টেস্টের তৃতীয় দিন সকালে এই মাইলফলকের দেখা পেয়েছেন মুমিনুল। টেস্টে এটি তার নবম সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ডে স্পর্শ করলেন তামিম ইকবালকে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবশেষ টেস্টেও এই মিরপুরে ১৬১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন মুমিনুল, ২০১৮ সালের নভেম্বরে। পরের টেস্টেই চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এরপর ১৪ ইনিংসে ছিল না আর কোনো শতরান। এই সময়টায় ফিফটিও ছিল মোটে একটি।
সাকিব আল হাসান নিষিদ্ধ হওয়ার পর গত অক্টোবরে অনেকটা আচমকাই টেস্ট নেতৃত্ব পান মুমিনুল। অধিনায়কত্বের অভিষেক সফর ভারতে কেটেছে দুঃস্বপ্নের মতো। প্রথম টেস্টে করেছিলেন ৩৭ ও ৭, পরের টেস্টে জোড়া শূন্য। দলও হেরেছিল প্রচণ্ড বাজেভাবে। এ মাসের শুরুতে পাকিস্তান সফরে গিয়েও হেরেছে দল। নিজে দুই ইনিংসে পাননি ফিফটি। অবশেষে দেশের মাটিতে ফিরে বড় রানেও ফিরলেন।
তার ৯ টেস্ট সেঞ্চুরির সবকটিই এলো দেশের আঙিনায়। ৬টিই করেছেন চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে, ৩টি মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে।
সব মিলিয়ে দেশের মাটিতে ২৩ টেস্টে ৯ সেঞ্চুরির পাশে আছে ৭ ফিফটি। দেশের বাইরে ১৭ টেস্টে ফিফটি মোটে ৬টি, সর্বোচ্চ ৭৭।
সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ডে তামিমকে ছুঁলেন অনেক কম ইনিংস খেলেই। ১১৫ ইনিংস খেলে ৯ সেঞ্চুরি তামিমের। স্পর্শ করতে মুমিনুলের লাগল ৭৪ ইনিংস।
দুঃসময়ের ঘেরাটোপে থাকলেও এই ইনিংসে শুরু থেকেই মুমিনুল ছিলেন সাবলীল। সুযোগ দেননি কোনো। নিজের সেরা চেহারায় থাকলে যেসব ড্রাইভ খেলেন, খেলেছেন তেমন কিছু শট। ডোনাল্ড টিরিপানোর বলে দৃষ্টিনন্দন এক ড্রাইভে চার মেরে সেঞ্চুরিতে পৌঁছেছেন ১৫৬ বলে।
মুমিনুলের সেঞ্চুরিতে দলের সেঞ্চুরি খরাও কাটল। গত বছর নিউ জিল্যান্ড সফরে হ্যামিল্টন টেস্টের পর বাংলাদেশের ৫ টেস্টে তিন অঙ্কের দেখা পাননি আর কেউ। এই টেস্টের আগে মুমিনুল কথা দিয়েছিলেন, তার ব্যাটে হোক বা অন্য কারও, বড় ইনিংস আসছে। কথা রাখলেন অধিনায়ক নিজেই।

Post a Comment

0 Comments