সাকিবকে তিনে নামার বুদ্ধিটা দিয়েছিলেন এবি


ইংল্যান্ডে গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে তিন নম্বরে ব্যাট হাতে ৬০৬ রান ও বল হাতে ১১ উইকেট শিকার করেছিলেন বাংলাদেশের অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ক্রিকেটের বড় মঞ্চে এমন দুর্দান্ত পারফরমেন্স কেউই করতে পারেননি। তার ৬০৬ রান, বিশ্বকাপের মঞ্চে তৃতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রাহক ছিল, তিন নম্বরে ব্যাট করাটা সাকিবের পক্ষে ছিল না। তিন নতাকে তিন নম্বরে ব্যাট করাতে রাজি ছিল না টিম ম্যানেজমেন্ট।
সাকিবকে তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে বাঁধা দিয়েছিলেন দলের সিনিয়র ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল, কারন সাকিবকে মিডল-অর্ডারে প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তিন নম্বরে ব্যাট করার ব্যাপারে অনড় ছিলেন সাকিব। তবে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার কাছ থেকে পূর্ণ সমর্থন পেয়েছেন। যা তাকে ইতিহাস সৃষ্টিতে সহায়তা করেছিল। গত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) চলাকালীন এবি ডি ভিলিয়ার্সের সাথে কথোপকথনের পর তিন নম্বরে ব্যাটিং করার সিদ্বান্ত নেয়ার বিষয়টি প্রকাশ করেন সাকিব।
তিনি বলেন, 'বিপিএল চলাকালীন, বিশ্বকাপের আগে আমি এবি ডি ভিলিয়ার্সের সাথে কথা বলছিলাম। সে আমাকে বলে, সে সবসময় ৪/৫/৬ নম্বরে ব্যাটিং করেছে। কিন্তু সে যদি তিন নম্বরে ব্যাটিং করতো, তাহলে দলের জন্য আরও অবদান রাখতে পারত এবং রান করতে পারত। কিন্তু দলের কথা ভেবে তাকে সবসময় ৪/৫/৬ নম্বরে খেলতে হয়েছে।'
সাকিব আর বলেন, তিন নম্বরে ব্যাট করার ব্যাপারে যুক্তি দিয়েছিলেন, যা তাকে প্রলুদ্ধ করেছিল। সাকিব জানান, 'ডি ভিলিয়ার্স বলেছে, মিডল অর্ডারে খেলে ৭০-৮০ রান করত। ওই রানগুলো মাঝে-মাঝে দলের জন্য কাজে লাগতো, আবার মাঝে মাঝে কাজে আসত না। কিন্তু তিনে খেললে ১০০/১২০ করতে পারবে। এর মানে এই নয় যে, সেঞ্চুরিতে সবসময় দলকে জেতানো যাবে কিন্তু তিন নম্বরে নামা ব্যাটসম্যান দলকে যে কোনো উপায়ে সহায়তা করতে পারবে।'
সাকিব ব্যাখ্যা করে বলেন, 'ধরা যাক, যদি দ্রুত দল ২/৩ উইকেট হারায়, তবে তিন নম্বরে নামা ব্যাটসম্যান হাল ধরে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে, এক্ষেত্রে যদি সে বড় স্কোর করতে পারে, তবে পরের দিকের ব্যাটসম্যানরা চাপে পড়ত না। আমি বিশ্বাস করি, সাফল্য আনতে উদ্দেশ্যই মূল ভূমিকা পালন করে। যদি উদ্দেশ্য সফল হয়, তবে আপনি সাফল্য পাবেন।'

Post a Comment

0 Comments