হ্যাটট্রিকের পেছনে জাদেজার অবদানের কথা জানালেন অ্যাগার


১৩ বছর পর টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে কেউ হ্যাটট্রিক করলেন। বোলারের নামটা কিছুটা চমকে দেওয়ার মতো, অ্যাশটন অ্যাগার। এই বাঁহাতি স্পিনার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করার পর জানিয়েছেন, রবীন্দ্র জাদেজার পরামর্শ নিয়ে সুফল পাচ্ছেন তিনি। ভারতের তারকা অলরাউন্ডারকে নিজের সবচেয়ে পছন্দের ক্রিকেটারের তকমাও দিয়েছেন অ্যাগার।
শুক্রবার জোহানেসবার্গে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১০৭ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। প্রোটিয়াদের মাত্র ৮৯ রানে গুটিয়ে দিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন অ্যাগার। ২৬ বছর বয়সী ঘূর্ণি বোলার করেন ক্যারিয়ারসেরা বোলিং। ইনিংসের অষ্টম ওভারে আক্রমণে গিয়েই হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্ব দেখান তিনি। সবমিলিয়ে চার ওভারের কোটা পূরণ করে ২৪ রান খরচায় অ্যাগার নেন পাঁচ উইকেট।
ক্রিকেটের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত সংস্করণে এতদিন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে হ্যাটট্রিকের একমাত্র নজিরটি ছিল ব্রেট লির। ২০০৭ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে টানা তিন বলে তিন উইকেট নিয়েছিলেন সাবেক তারকা পেসার। সাজঘরে পাঠিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মর্তুজা ও অলোক কাপালিকে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে সেটাই ছিল প্রথম হ্যাটট্রিক।
লির স্মৃতি ফিরিয়ে আনা অ্যাগার ম্যাচ শেষে বলেছেন, তার সাফল্যের পেছনে অবদান রয়েছে জাদেজার। গেল মাসে ভারতের মাটিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। ওই সিরিজের পর জাদেজার সঙ্গে আলোচনা করে নিজের বোলিং দক্ষতা বাড়িয়েছেন  অ্যাগার, একইসঙ্গে বনে গেছেন পাঁড় ভক্ত, ‘ভারত সিরিজের পর জাদেজার সঙ্গে দারুণ একটা আলোচনা হয়েছিল আমার। তিনি আমার সবচেয়ে পছন্দের খেলোয়াড়। তিনি যেভাবে ক্রিকেট খেলেন, আমি সেভাবেই খেলতে চাই।’
টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ের তিন নম্বর অলরাউন্ডার জাদেজার প্রশংসায় পঞ্চমুখ অ্যাগার যোগ করেছেন, ‘তিনি একজন রকস্টার: বল পেটান, আগ্রাসী ফিল্ডিং করেন এবং বল ঘোরান। যখন তিনি মাঠে থাকেন, তখন তার উপস্থিতিটাই সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে, তার আত্মবিশ্বাস... তার সঙ্গে স্পিন বোলিং নিয়ে কথা বলা, বল ঘোরানোর চেষ্টা করার বিষয়গুলোও দারুণ।’
মূল কাজটা বোলিং হলেও ধীরে ধীরে ব্যাট হাতে অবদান রাখতে শুরু করেছেন অ্যাগার। শেষদিকে তার ৯ বলে অপরাজিত ২০ রানের ঝড়ো ইনিংসে অজিরা ৬ উইকেটে ১৯৬ রানের বড় পুঁজি পায়। ব্যাটিংটা আরও কার্যকর করতেও জাদেজাকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন অ্যাগার, ‘যখন তিনি ব্যাটিং করেন, তখন তার মানসিকতা ইতিবাচক থাকে এবং ফিল্ডিংয়ের সময়ও সেই মানসিকতা তিনি দেখান। তার সঙ্গে কথা বলে আমি খুবই অনুপ্রাণিত হয়েছি।’

Post a Comment

0 Comments