ফুটবলে ফিরতে মরিয়া দিবালা



করোনাভাইরাসের কারণে স্থগিত হয়ে আছে ইতালির ফুটবল লিগ। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে অনুশীলনের সুযোগ মিলেছে। কিন্তু এখনও মাঠে নামার সুযোগ হয়নি জুভেন্টাসের আর্জেন্টাইন তারকা পাওলো দিবালার। কারণ আক্রান্ত হওয়ার ছয় সপ্তাহ পরও কোভিড-১৯ পজিটিভ ছিলেন তিনি। আর লম্বা এ সময় মাঠের বাইরে থেকে ফুটবলকে দারুণ মিস করছেন এ তরুণ। আবারও ফুটবলে ফিরতে মুখিয়ে আছেন এ আর্জেন্টাইন তারকা।
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রাম লাইভে দিবালা বলেছেন, 'সত্যি বলতে কি আমি কখনোই ভাবিনি যে, আমি খেলা এবং অনুশীলন এতো মিস করবো। আমার এখন মনে হচ্ছে আমার অনুশীলনে যাওয়া দরকার, সতীর্থ ও বন্ধুদের দেখতে, কমপক্ষে বলে স্পর্শ করতে। কারণ ঘরে বসে অনুশীলন ঠিক আমার সঙ্গে যাচ্ছে না। আমার বুট পরা দরকার এবং দৌড়ানো, গোল করা দরকার... যেমনটা আমি সবসময় বলে আসছি, যখন আপনি কোন কিছুর উপর অতি উৎসাহী, সেটা দ্বিতীয়বার করা গুরুত্বপূর্ণ।'
গত সোমবার থেকে ইতালিতে অনুশীলন শুরু করেছে খেলোয়াড়রা। আগামী ১৮ মে থেকে শুরু হবে দলগত অনুশীলন। কিন্তু দিবালা কবে অনুশীলনের সুযোগ পাবেন তা এখনও জানেন না। কারণ সদ্য করোনা মুক্ত হওয়া এ তরুণকে নিয়ে এখনই ঝুঁকি নিতে চাইছে না ক্লাব। দিবালার ভাষায়, 'অনুশীলন ছাড়া অনেক লম্বা সময় পার হয়ে গেছে। আমরা এখনও জানি না কবে ফিরবো আমরা। এটা ছুটির দিনের মতো নয়, কারণ সেখানে আপনি জানবেন ঠিক কতোটা সময় আপনি বিশ্রাম নিবেন।'
তবে এ সময়ে ঘরে বসে কিছুটা অনুশীলন করে যাচ্ছেন দিবালা। যদিও তা পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করছেন তিনি, 'আমি জানি আমার একটাই কাজ ছিল রিলাক্স করা এবং ফিটনেস ধরে রাখা। তবে এখনকার তুলনায় তেমন কিছুই না। আমি ঘরে বসে অনুশীলন করছি, যখন থেকে আমি কিছু অনুশীলনের উপকরণ ঘরে আনতে পেরেছি। আমি জানি না কবে থেকে অনুশীলন শুরু হবে, আমি তা করতে পারবো। ঘরের মধ্যে লম্বা সময় বন্দি থাকায় কিছু নতুন জিনিস শিখতে পেরেছি। যেমন আমি নতুন উপায় খুঁজে পেয়েছি - যোগব্যায়াম। আমি এটা ভালোবেসে ফেলেছি আমি বুঝতে পেরেছি এটা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে।'
এছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সময়ের দুঃসহ স্মৃতিও তুলে ধরেন দিবালা, 'আমার শক্ত উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। যখনই অনুশীলন করার চেষ্টা করতাম তখন আমি খুব দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়তাম। পাঁচ মিনিট পরই আমি শ্বাসকষ্টে ভুগতাম। তখন বুঝতে পেরেছিলাম কিছু একটা ঠিক হচ্ছে না। পরে ক্লাব থেকে টেস্ট করানোর পর জানতে পারি আমরা (কোভিড-১৯) পজিটিভ। তারপর আমাদের আরও লক্ষণ দেখা দেয়। যেমন কাশি, শরীর দুর্বল হয়ে পড়া এবং যখন ঘুমাতাম তখন খুব শীত অনুভব করতাম। তবে ক্লাব থেকে আমাদের বলা হয়েছে আমাদের শান্ত থাকতে, আমরা ভালো হয়ে যাব।'

Post a Comment

0 Comments