রোহিতের চোখে ধাওয়ান যে কারণে ‘ইডিয়ট’


ধাওয়ান বরাবরই ওপেনার হলেও রোহিত আগে ছিলেন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। পরে ওপেনিংয়ে উঠে আসার পর বদলে যায় তার ক্যারিয়ারের গতিপথ।
রোহিত-ধাওয়ান ওয়ানডেতে প্রথমবার একসঙ্গে ইনিংস উদ্বোধন করতে নামেন ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ওই ম্যাচের মজার একটি ঘটনা সম্প্রতি ইনস্টাগ্রাম লাইভে ওয়ার্নারের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানিয়েছেন রোহিত।
আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে ওয়ার্নার ও ধাওয়ানের জুটি দারুণ সফল। রোহিতের কাছে ওয়ার্নার জানতে চেয়েছিলেন, জাতীয় দলের হয়ে খেলার সময় ধাওয়ান ইনিংসের প্রথম বল খেলতে চান কি না। রোহিত জবাব দিয়েছেন মজা করে।
“কী আর বলতে পারি, সে একটা ইডিয়ট। ইনিংসের প্রথম বল সে খেলতে চায় না। স্পিনারদের ওপর সে ছড়ি ঘোরাতে চায়। কিন্তু ফাস্ট বোলারদের সামনে পড়তে চায় না। ২০১৩ সালের কথা আমার মনে আছে, যখন ভারতের হয়ে ওপেন করা শুরু করেছিলাম। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ওপেনার হিসেবে সেটি ছিল আমার দ্বিতীয় ইনিংস। প্রতিপক্ষ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, সামনে ছিল মর্নে মর্কেল, ডেল স্টেইনের মত বোলার। আমি কখনও নতুন বলে তাদের মুখোমুখি হইনি।”
“আমি তাই শিখরকে বললাম, ‘তোমাকে স্ট্রাইক নিতে হবে।’ কিন্তু সে বলল, ‘না, রোহিত, তুমি অনেকদিন ধরে খেলছো। আমি পারব না। তুমি স্ট্রাইক নাও।’ আমি ভাবলাম, ‘যে নিয়মিত ওপেন করে, সে কিনা স্ট্রাইক নিতে চাচ্ছে না!’ আমিই স্ট্রাইক নিলাম। মর্কেলের প্রথম কয়েকটি বল চোখেই দেখিনি। অতটা বাউন্স আমি আশা করিনি, অমন কিছুর জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। ইংল্যান্ডের মাটিতে নতুন বলের আচরণ কেমন হয়, কোনো ধারণাই ছিল না আমার।”
রোহিত যখন এসব বলছেন, ওয়ার্নার তখন হেসেই খুন! কথা প্রসঙ্গেই রোহিত জানালেন, ব্যাটিংয়ের সময় মাঝেমধ্যেই সঙ্গীকে কতটা যন্ত্রণা দেন ধাওয়ান।
“ কখনও কখনও সে খুব বিরক্তিরও। আমি পরিকল্পনা সাজিয়ে বলি যে, ‘এই বোলার এটা করছে, কাজেই আমাদের এভাবে খেলতে হবে।’ পাঁচ সেকেন্ড পর সে বলে, ‘ তা, কী যেন বলেছিলে!’ ম্যাচ চলার সময় প্রচণ্ড চাপের মুহূর্তে যখন কেউ এসব বলে, হতাশ লাগে। বুঝতে পারি না কী প্রতিক্রিয়া দেখাব।”
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওই ম্যাচ দিয়েই অবশ্য এই জুটির সাফল্যের শুরু। উদ্বোধনী জুটিতে সেদিন ১২৭ রান তুলেছিলেন দুজন। দুই বছর পর দলে সুযোগ পেয়ে ধাওয়ান ৯৪ বলে করেছিলেন ১১৪। রোহিতের ব্যাট থেকে এসেছিল ৬৫।

Post a Comment

0 Comments