ক্রাইস্টচার্চ হামলা থেকে তামিমদের বাঁচিয়েছিলেন তাইজুল


২০১৯ সালের ১৫ মার্চ দিনটি বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য ঐতিহাসিক ও অবিস্মরণীয় দিন।

না, কোনো সিরিজ জয় বা শিরোপার অর্জন দিয়ে নয়। সেদিন নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে ২ মিনিটের জন্য প্রাণে বেঁচে ফিরেছিলেন তামিম-মুশফিকরা।
বর্ণবাদী সেই নিষ্ঠুর শ্বেতাঙ্গের কবল থেকে কীভাবে বেঁচে ফিরল টিম টাইগার, এবার সে কথা জানালেন তামিম ইকবাল।
তিনি জানান, মহান আল্লাহর ইচ্ছায় স্পিনার তাইজুলের কারণেই সেদিন অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যায় গোটা দল।
রোববার রাতে তামিম ইকবাল ফেসবুক লাইভে এ কথা বলে ধন্যবাদ জানান তাইজুলকে।
এদিন লাইভে মুমিনুল হক, লিটন দাস ও সৌম্য সরকার ছিলেন তামিমের অতিথি। মাঝপথে বিশেষ অতিথি হিসেবে তাইজুলকে ডেকে নেন তামিম।
আড্ডার একপর্যায়ে তামিম বলেন, ‘তাইজুল যদি নিউজিল্যান্ডে না থাকত আর ওই কাইণ্ঠামিগুলা না করত, তা হলে আমরা এখানে কেউ বেঁচে থাকতাম না। লিটন শুধু বেঁচে থাকত, ও হোটেলে চলে গিয়েছিল। ক্রাইস্টচার্চে যে হামলাটা হয়েছিল, আমরা যদি ১-২ মিনিটও আগে পৌঁছতাম তা হলে হয়তো আমরাও সেই অ্যাটাকের মধ্যে পড়ে যেতাম।’
কী করেছিলেন তাইজুল সেদিন?
জানা গেছে, সেদিন শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করতে মসজিদে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন টাইগাররা।
কিন্তু এদিকে ফুটবল খেলা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন মুশফিকুর রহিম ও তাইজুল ইসলাম। মুশফিক প্রায় জিততে চলেছিলেন, তখন খেলাটিকে রীতিমতো সিরিয়াস পর্যায়ে নিয়ে যান তাইজুল। মুশফিককে হারাতে মরিয়া হয়ে পড়েন। এ জন্য নানা ছলচাতুরির আশ্রয় নেন তাইজুল। ছলেবলে কৌশলে যে করেই হোক মুশফিককে হারাতেই হবে! তাইজুলের এই ছেলেমানুষী সবাইকে ৩-৪ মিনিট দেরি করায়। পরে দেখা যায় এই ৩-৪ মিনিটই গোটা দলকে বাঁচিয়ে দিয়েছে।
তাইজুলের এই ছলচাতুরির বিষয়টি আঞ্চলিকতায় ‘কাইণ্ঠামি’ বলে উল্লেখ করেছেন তামিম।
তামিমের সঙ্গে একমত হয়ে মুমিনুল বলেন, তাইজুল সেদিন কাইণ্ঠামি করার কারণেই ফুটবল ম্যাচটি বড় হয়েছিল আর আমাদের মসজিদে পৌঁছুতে দেরি হয়ে যায়।
এ বিষয়ে তাইজুল হেসে বলেন, ‘সবার আগে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া যে আমরা সেদিন বেঁচে ফিরেছি। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ বাঁচাইছে। আর আপনারা তো জানেনই– কাইণ্ঠামি তো আমার রক্তেই আছে ভাই। যেমনেই হোক জিততে হবে।’

Post a Comment

0 Comments