বাংলাদেশের ২-০ তে জিতলেই ৩-০


টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতলে প্রথমবারের মতো কোনো দলের বিপক্ষে এক দফায় তিন সংস্করণেই জিতবে বাংলাদেশ। পাশাপাশি, এক সিরিজে তিন সংস্করণ মিলিয়ে সব ম্যাচে জয়ও ধরা দেবে প্রথমবার।
বাংলাদেশের এই জোড়া অর্জনের ম্যাচ বুধবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। ম্যাচ শুরু সন্ধ্যায় ৬টায়।
এক দলের বিপক্ষে তিন সংস্করণেই জয়ের সবশেষ সুযোগ বাংলাদেশের সামনে এসেছিল ২০১৮ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ করার পর ওয়ানডে সিরিজে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিবিয়ানরা জিতে যায় ২-১ ব্যবধানে।
২০১৪ সালে জিম্বাবুয়েকে টেস্টে ৩-০তে হারানোর পর ওয়ানডেতে ৫-০তে জিতেছিল বাংলাদেশ। সেবার ছিল না টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
এবার অবশ্য টেস্টে কোনো সিরিজ ছিল না। কেবল একটি ম্যাচই ছিল, মিরপুরে যে টেস্টে বাংলাদেশ জিতেছে ইনিংস ব্যবধানে। এরপর সিলেটে ওয়ানডে সিরিজের তিন ম্যাচেই বাংলাদেশ ছাড়িয়েছে তিনশ, রানের রেকর্ড গড়েছে ও ছুঁয়েছে প্রতি ম্যাচেই। দ্বিতীয় ওয়ানডে ছাড়া অন্য দুই ম্যাচেই জয় ধরা দিয়েছে দাপটেই।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেও লড়াই খুব জমাতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। শেষ ম্যাচের আগে বাংলাদেশের মেহেদি হাসান বললেন, জিম্বাবুয়েকে আবারও উড়িয়ে দিতে চায় দল। এই চাওয়াকে অবশ্য অতি আত্মবিশ্বাস বলতে চান না এই অলরাউন্ডার।
“যেহেতু আমরা টেস্ট, ওয়ানডে ও প্রথম টি-টোয়েন্টিতে খুব দাপট দেখিয়ে জিতেছি, কোনো পাত্তাই দিইনি, সেক্ষেত্রে ওভাবেই খেলব।”
“ওভার কনফিডেন্স কারও মধ্যেই দেখা যাচ্ছে না। বড় একটা ইতিবাচক ব্যাপার হলো, ব্যাটসম্যানরা রানের মধ্যে আছে। ব্যাটিং অর্ডারের অনেকে ব্যাটিংয়ের সুযোগও পাচ্ছে না। তার পরও আমরা ওদের ছোট করে দেখছি না। জিম্বাবুয়ে হোক বা যে কেউই, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যেকোন সময় মোমেন্টাম বদলে হয়ে যেতে পারে। শেষ ম্যাচ আরও বেশি সতর্ক ও মনযোগী হয়ে খেলা উচিত আমাদের। আমরা সেটিই করব।”

Post a Comment

0 Comments