ইউরোপা থেকে বিদায় আর্সেনাল-আয়াক্সের


দুঃসময় কাটছেই না আর্সেনালের। টানা ব্যর্থতায় মৌসুমের মাঠেও কোচ বদল করেও লাভ হয়নি। নতুন কোচ মিকেল আর্তেতার অধীনেও ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না দলটি। সে ধারায় এবার উয়েফা ইউরোপা লিগ থেকেও বিদায় নিয়েছে তারা। তাদের সঙ্গে বিদায় নিয়েছে গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দুর্দান্ত খেলা আয়াক্সও। এ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বেই বিদায় নেওয়া দলটি এবার বাদ পড়ল ইউরোপা লিগ থেকেও। তবে ঘরের মাঠে ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ ষোলোতে জায়গা করে নিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
আগের দিন ঘরের মাঠে অলিম্পিয়াকোসের কাছে শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে বিদায় নেয় আর্সেনাল। অতিরিক্ত সময়ে গড়ানোর ম্যাচটি তারা হারে ১-২ গোলের ব্যবধানে। ৫৩ মিনিটে পেপ আবু সিসের দেওয়া গোলে নির্ধারিত সময়ে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকে অলিম্পিয়াকোস। এর আগে প্রতিপক্ষের মাঠে ১-০ গোলে জিতে ফিরেছিল আর্সেনাল। ফলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ১১৩ মিনিটে পিয়েরে-অ্যামরিক অবামেয়াংয়ের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল আর্সেনাল। তবে ১১৯তম মিনিটে স্বাগতিকদের স্তব্ধ করে দেয় ইউসুফ আল আরাবি।
আর ঘরের মাঠে জয় পেয়েও বাদ পড়েছে আয়াক্স। গেতাফের বিপক্ষে তারা জিতেছে ২-১ গোলের ব্যবধানে। কিন্তু এর আগে স্প্যানিশ ক্লাবটির মাঠে তারা হেরে গিয়েছিল ০-২ গোলের ব্যবধানে। ফলে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে জিতেও বাদ পড়তে হলো তাদের। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই জেমি মাতা গোল দিলে লক্ষ্যটা কঠিন হয়ে যায় আয়াক্সের। এরপর তাদের কমপক্ষে ৪টি গোল দিতে হতো। তবে দানিলো ও অলিভেরার গোলে জয় পেলেও তাতে লাভ হয়নি দলটির।
দিনের অপর ম্যাচে ক্লাব ব্রুসকে উড়িয়ে দিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ঘরের মাঠে ৫-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে জয় লাভ করে দলটি। অথচ প্রতিপক্ষের মাঠে ১-১ গোলের ড্র মানতে হয়েছিল দলটিকে। জোড়া গোল করেছেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ফ্রেড। এছাড়া ব্রুনো ফার্নান্দেস, স্কট ম্যাকটমিনি ও ওডিওন ইগালো একটি করে গোল দেন।
শেষ ষোলোতে জায়গা করে নিয়েছে ইতালিয়ান জায়ান্ট ইন্টার মিলানও। ঘরের মাঠে রোমেলু লুকাকু ও ক্রিস্তিয়ানো বারাগির গোলে বেলজিয়ান ক্লাব লুডোগোরেটস র‍্যাজগ্রাডের বিপক্ষে ২-১ গোলের ব্যবধানে জিতেছে তারা। প্রথম লেগেও ২-১ গোলের ব্যবধানে জয় পেয়েছিল তারা।
এছাড়া শেষ ষোলোতে জায়গা করে নিয়েছে উলভারহ্যাম্পটন ওয়ানডারার্স, এফসি বাসেল, বায়ার লেভারকুসেন, ইস্তানবুল বাসাকসেহির, এএস রোমা, এলঅ্যাএসকে লিঞ্জ ও ভিএফএল ওলফবুর্গ, শাখতার দোনেস্ক, এফসি কোপেনহেগেন ও সেভিয়া।

Post a Comment

0 Comments