লিঁওর মাঠে হেরে গেল জুভেন্টাস


চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে অলিম্পিক লিঁওর কাছে হেরে গেছে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাস। প্রতিপক্ষের মাঠে প্রথমার্ধেই পিছিয়ে পড়ে দলটি। শেষ পর্যন্ত সে গোলটিই পার্থক্য হয়ে দাঁড়ায়। জমাট ডিফেন্সে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, গঞ্জালো হিগুয়াইন, পাওলো দিবালাদের মতো বিশ্ব সেরা ফরোয়ার্ডদের আটকে রেখে জয়ের স্বস্তি নিয়েই মাঠ ছাড়ে ফ্রান্সের দলটি।
বুধবার রাতে ঘরের মাঠে ১-০ গোলে জুভেন্টাসকে হারায় লিঁও। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন লুকাস টুসার্ট।
ঐতিহ্য ও শক্তিতে লিঁওর চেয়ে অনেক এগিয়ে থেকেই মাঠে নেমেছিল জুভেন্টাস। মাঝ মাঠের দখলও তারাই রেখেছিল বেশি। ১৪টি শটও নিয়েছিল। কিন্তু তার একটিও রাখতে পারেনি লক্ষ্যে। ফলে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
অন্যদিকে দারুণ কিছু গোছানো আক্রমণ করে লিঁও। ম্যাচের ২১তম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত তারা। বড় বাঁচা বেঁচে যায় ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাস। হোসেম আওয়ারের নেওয়া কর্নার থেকে লাফিয়ে উঠে দারুণ এক হেড নিয়েছিলেন কার্ল তোকো একাম্বি। কিন্তু তার হেড বারপোস্টে লেগে ফির আসে।
৩১তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোল পায় লিঁও। একের পর এক আক্রমণে জুভেন্টাসের রক্ষণভাগকে ব্যস্ত রেখেই গোল আদায় করে নেয় দলটি। বাঁ প্রান্তে হোসেমের কাটব্যাক থেকে দুর্দান্তকে এক সাইড ভলিতে বল জালে জড়ান টুসার্ট। ৩৮তম মিনিটে ব্যবধান বাড়তে পারত। ডি-বক্সের মধ্যে হুয়ান কুয়ার্দাদোর হাতে বল লাগলেও লিঁওর পেনাল্টির আবেদনে সাড়া দেননি রেফারি।
৪১তম মিনিটে মিরালেম পিয়ানিচের ভুলে বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়ে যান একাম্বি। কিন্তু ফাঁকায় থেকেও লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা গোছানো ফুটবল খেলে জুভেন্টাস। কিন্তু অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়েই খেই হারায় তাদের আক্রমণগুলো। ৬৬তম মিনিটে সমতায় ফিরতে পারত তারা। দিবালার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। তিন মিনিট পর অ্যালেক্স সান্দ্রো পাস থেকে ফাঁকায় বল পেয়েও লক্ষ্যে শট নিতে পারেননি এ আর্জেন্টাইন
৮৬তম মিনিটে অবশ্য বল জালে জড়িয়েছিলেন দিবালা। কিন্তু অফসাইডে থাকায় বাতিল হয় সে গোল। শেষদিকে গোল শোধ করতে বেশ চাপ সৃষ্টি করেছিল জুভরা। কিন্তু লাভ হয়নি। ফলে প্রথম লেগে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তুরিনের ক্লাবটিকে।
আগামী ১৮ মার্চ লিঁওকে নিজেদের মাঠে আতিথেয়তা দিবে জুভেন্টাস।

Post a Comment

0 Comments