নেইমার চোট কাটিয়ে ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ফিরছেন


পাঁজরের চোট থেকে সেরে উঠে মাঠে ফিরতে যাচ্ছেন নেইমার। প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) কোচ টমাস টুখেল বলেছেন, অনুশীলনে নতুন করে কোনো সমস্যা না হলে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের খেলতে নামা একরকম নিশ্চিত।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) নেইমারকে নিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছেন টুখেল। ২১ সদস্যের স্কোয়াডে ফিরেছেন আরেক তারকা ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপেও। গেল শনিবার ফরাসি লিগ ওয়ানে নিজেদের শেষ ম্যাচে পিএসজি ৪-৪ গোলে ড্র করেছিল আমিয়াঁর সঙ্গে। ওই ম্যাচে নেইমার ও এমবাপের কেউই ছিলেন না।
মঙ্গলবার রাতে ডর্টমুন্ডের মাঠ সিনিয়াল ইদুনা পার্কে খেলতে নামবে প্যারিসিয়ানরা। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত দুইটায়। তার আগে সংবাদ সম্মেলনে টুখেল দিয়েছেন ২৮ বছর বয়সী নেইমারের মাঠে থাকার ইঙ্গিত, ‘নেইমার ভালো আছেন। অনুশীলনে যদি কোনো কিছু আর না ঘটে (চোট বা শারীরিক অস্বস্তি), তাহলে তিনি মঙ্গলবার খেলবেন। তার ফিরে আসাটা আমাদের সবকিছুই বদলে দিয়েছে। আশা করছি, পরিবর্তনটা ইতিবাচক হবে।’
গেল ১ ফেব্রুয়ারি লিগের ম্যাচে মঁপেলিয়ের বিপক্ষে চোট পেয়েছিলেন নেইমার। চোট নিয়েই সেদিন পুরো ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলারের চোটে পড়ার খবর পিএসজি জানায় দুদিন পর। এ কারণে টানা চার ম্যাচে মাঠের বাইরে ছিলেন নেইমার।
সেলেসাও তারকার চোট কাটিয়ে ফিরে আসাটা পিএসজির জন্য সুসংবাদ হলেও ডর্টমুন্ডের জন্য তা বিপরীতধর্মী অর্থ বহন করে। তবে জার্মান ক্লাবটির কোচ লুসিয়েন ফাভ্রে বলেছেন, কেবল নেইমার নন, তাদের মাথাব্যথার কারণ হতে পারেন পিএসজির আরও বেশ কয়েকজন ফুটবলার, ‘নেইমার অসাধারণ একজন খেলোয়াড় কিন্তু এমবাপে আর (অ্যাঙ্গেল) ডি মারিয়াও (অসাধারণ)।’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আগে কখনোই মুখোমুখি হয়নি পিএসজি ও ডর্টমুন্ড। ইউরোপের সব ধরনের ক্লাব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তাদের দেখা হয়েছিল মাত্র একবার। ২০১০-১১ মৌসুমের ইউরোপা লিগের দুটি ম্যাচই ড্র হয়েছিল। ডর্টমুন্ডের মাঠে ম্যাচ শেষ হয়েছিল ১-১ সমতায়। আর পিএসজির মাঠে অনুষ্ঠিত লড়াইটি ছিল গোলশূন্য।

Post a Comment

0 Comments