ভিলিয়ার্সের অবসর ভেঙে ফেরার পথে বাধা করোনাভাইরাস



আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে হুটহাট অবসর নিয়ে ফেলেছিলেন এবিডি ভিলিয়ার্স। কিন্তু অবসরে গিয়েই তার মনে হলো এখনো দক্ষিণ আফ্রিকাকে দেওয়ার আছে কিছু। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই ফিরতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু করোনাভাইরাসের মহামারিতে সব বিশ্বকাপই অনিশ্চিত, বন্ধ আছে সব খেলাধুলাই। এতে ভিলিয়ার্সের ফেরাও ফিকে হতে চলেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার একটি দৈনিকে রোববার নিজের ক্রিকেটে ফেরার অনিশ্চয়তার কথা জানান আধুনিক ক্রিকেটের বিধ্বংসী এই ব্যাটসম্যান।
খেলা, অনুশীলন কিছু না থাকায় বাড়িতে বসে হিসাব মেলাচ্ছেন ভিলিয়ার্স। অবস্থা যেদিকে এগুচ্ছে তাতে বাড়ছে বিষণ্ণতা, ‘এই মুহূর্তে আমি ফিরতে প্রস্তুত। কিন্তু বিশ্বকাপ যদি পরের বছর চলে যায় তাহলে বাস্তবতা পালটে যাবে। আমি জানি না তখন আমরার শরীর কতটা সাড়া দিবে, কতটা ফিট থাকব।’
পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে ফিটনেসের সঙ্গে কখনই আপস করেননি ভিলিয়ার্স। নিজেকে নিংড়ে দিতে চেয়েছেন বরাবর। সেই চিন্তা অটুটই আছে। কাজেই এই বছর বিশ্বকাপ না হলে, শরীরের বিরুদ্ধে কিছু করতে চান না তিনি,  ‘যদি শতভাগ ফিট থাকি অবশ্যই খেলতে তৈরি থাকব। কিন্তু ৮০ ভাগ হলেও এগুবো না। কারণ আমি ওই রকম মানুষ নই।’
আপাতত বাড়িতে বসে ফিটনেস ধরে রাখার চেষ্টা করছেন আর আশায় আছেন ঠিক সময়েই হবে বিশ্বকাপ। তবে আলো ঝলমলে ক্যারিয়ারের পরিসংখ্যান দিয়েই ফিরতে চান না। নতুন করে পরীক্ষা দিয়েই পাশ করতে মুখিয়ে তিনি,  ‘আমাকে অবশ্যই ট্রায়াল দিতে হবে, বাউচারকে (মার্ক বাউচার, প্রধান কোচ) কনভিন্স করতে হবে নিজের ফিটনেস ও পারফরম্যান্স দিয়ে।’
চলতি বছরে অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় হওয়ার কথা বিশ্বকাপ। এখনো টুর্নামেন্টের ব্যাপারে আশাবাদি আইসিসি। বিশ্বকাপ কোন কারণে পিছিয়ে দিতে হলে তৈরি হবে চূড়ান্ত সূচি জট। কারণ ২০২১ সালে ভারতে আছে আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ও বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সূচি ঝুলে আছে।

Post a Comment

0 Comments