আর্জেন্টিনায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবার নিজেই জানালেন দিবালা


এ নিয়ে আগেও সংবাদ প্রকাশ হয়েছে দুই দফা। প্রথমবারে জুভেন্টাস ফরোয়ার্ড পাওলো দিবালার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর, এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে আর্জেন্টাইন তারকা তা অস্বীকার করায় ফের আবার সংবাদ। তবে শেষ পর্যন্ত, এ ভাইরাসের ভয়াল থাবা থেকে মুক্তি পেলেন তিনি। সবশেষ পরীক্ষায় কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি পাওয়া গেছে দিবালার শরীরে। শুধু তা-ই নয়, তার বান্ধবি আর্জেন্টাইন গায়িকা ও মডেল ওরিয়ানা সাবাতিনও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
শনিবার রাতে টুইট করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন দিবালা নিজেই, ‘হ্যালো সবাই, আমি আপনাদের জানাতে চাই যে, আমরা কোভিড-১৯ এর পরীক্ষার ফল হাতে পেয়েছি এবং আমার ও ওরিয়ানা দুজনেরই পজিটিভ ফল এসেছে। সৌভাগ্যক্রমে আমাদের অবস্থা এখন ভালো। আপনাদের বার্তার জন্য ধন্যবাদ।’
দিবালার ক্লাব জুভেন্টাসও তার শরীরে ভাইরাস সংক্রমণের সত্যতা স্বীকার করেছে। নিজেদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘পাওলো দিবালার মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়েছে এবং ফল করোনাভাইরাস পজিটিভ এসেছে। তিনি গেল ১১ মার্চ, বুধবার থেকে স্বেচ্ছায় নিজ ঘরে আইসোলেশনে আছেন। নিয়ম অনুযায়ী, তাকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা অব্যাহত রয়েছে। সে ভালো আছে এবং এখনও রোগের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।’
এর আগে গেল ১৩ মার্চ ভেনেজুয়েলার গণমাধ্যম এল ন্যাশিওনালের বরাতে সারা বিশ্বে দিবালার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে। যে কারণে ইতালিয়ান অনেক সাংবাদিক তার কাছে ঘটনার সত্যতা জানতে চান। পরে বাধ্য হয়ে একটি টুইট করেছিলেন তিনি। সেখানে লিখেছিলেন, ‘হ্যালো সবাই, আমি সবাইকে নিশ্চিত করে জানাতে চাই, আমি ভালো আছি এবং সেচ্ছাসেবীদের অধীনে আইসোলেশনে আছি। আমাকে বার্তা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আমি আশা করছি, আপনারাও ভালো আছেন।’
জুভেন্টাস ও ইতালিয়ান লিগের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন ডিফেন্ডার দানিয়েল রুগানি। তখন থেকেই আশঙ্কা ছিল, দলটির আরও খেলোয়াড় আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। তাই দলের সবাইকে আলাদা করে রাখার জন্য আইন অনুসারে প্রক্রিয়া শুরু করে জুভেন্টাস। স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টিনে আছেন সব খেলোয়াড়। খেলোয়াড়, ম্যানেজার, অন্যান্য স্টাফসহ মোট ১২১ জনকে আইসোলেশনে পাঠিয়েছে ইতালিয়ান ক্লাবটি। এরপরও মিলছে দুসংবাদ। ব্লেইস মাতুইদির পর করোনায় আক্রান্ত হলেন দিবালা। অর্থাৎ তুরিনের ক্লাবটির মোট তিন খেলোয়াড়ের শরীরে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছে।
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ইতালিতে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ইতালিতে রেকর্ড ৭৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক দিনে এত মানুষের মৃত্যু আগে দেখেনি বিশ্ববাসী। এ নিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে চার হাজার ৮২৫ জনে দাঁড়িয়েছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ছয় হাজার ৫৫৭ জন। ফলে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৫৩ হাজার ৫৭৮ জনে পৌঁছেছে। উদ্বেগজনক অবস্থায় পুরো ইতালি অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

Post a Comment

0 Comments