এতটা আশা করেননি লিটন


টেস্টে ফিফটি মেরে সিরিজ শুরু। ওয়ানডে সিরিজে দুই সেঞ্চুরি, তার মধ্যে একটা আবার রেকর্ডময়। টি-টোয়েন্টির দুই ম্যাচেই দুই ফিফটি। তিন ফরম্যাটের সিরিজ মিলিয়ে লিটন দাস ব্যাট করতে নেমেছেন ছয়বার।  কেবল একবারই আউট হয়েছেন ফিফটির আগে। পুরো সিরিজে ১২০.৭৫ গড়ে তার ব্যাট থেকে এসেছে মোট ৪৮৩ রান। চোখ ধাঁধানো এমন নৈপুণ্য দেখাতে পারবেন, অতটা আশা করেননি নিজেও। জানালেন, মনোযোগ আর শট সিলেকশনে বদল আনায় এসেছে অমন সাফল্য।  
সামর্থ্য নিয়ে কখনই প্রশ্ন ছিল না লিটনের। সংকট ছিল ধারাবাহিকতায়। এবার লিটনকে পাওয়া গেল দুরন্ত ধারাবাহিক। বুধবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও দুর্বার তার ব্যাট। মামুলি রান তাড়ায় ৪৫ বলে ৬০ রান করে হয়েছেন ম্যাচ ও সিরিজ সেরা। 
ঢাকায় একমাত্র টেস্টে এক ইনিংসেই ব্যাট করার সুযোগ মিলেছিল। করেছেন ৫৩ রান। প্রথম ওয়ানডেতে ১২৬ রান করার পর দ্বিতীয় ম্যাচেই কেবল ফিরেছেন ফিফটির আগে। তবে ৯ রানের ওই ইনিংসও শেষ হয়েছে দুর্ভাগ্যজনক রান আউটে। তৃতীয় ওয়ানডেতে তো তামিম ইকবালের রেকর্ড ভেঙে দেশের হয়ে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ১৭৬ রানের ইনিংস আসে তার ব্যাটে। 
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৩৯ বলে ৫৯, পরেরটিতে ৪৫ বলে ৬০। অনুমিতভাবেই সিরিজ সেরাও তিনি। পুরো সিরিজে ৬ ইনিংস ব্যাট করেছেন, দুইবার অপরাজিত। রান করেছেন ১২০.৭৫ গড়ে। চার-ছয়ের ফোয়ারাও দেখা গেছে তার ব্যাটে। 
সিরিজ শেষে জানালেন, এত কিছু করে ফেলবেন এত বড় ভাবনা একেবারেই মাথায় ছিল না তার,  ‘ সত্যি বলতে এত বড় প্রত্যাশা ছিল না আসলে। টি-টোয়েন্টিতে যেটা হয় একটা টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের কাছে  আশা করাই যায় যে পঞ্চাশ মারবে। আর আজকের ম্যাচ অনেক সহজ ছিল। ব্যাটিং করাটা সহজ বলব না, প্রতিটা বলই তো চ্যালেঞ্জিং। যেকোনো বলেই তো আউট হতে পারি। কিন্তু রান তাড়ার কোন চাপ ছিল না। আমার জন্য সহজ ছিল। আর সব মিলিয়ে ভাল গেছে।’
এর আগে মাঝে মধ্যে তার ব্যাটে দেখা গেছে ঝলক। আচমকা জ্বলে আবার নিভে যাওয়া তারা হয়েই ছিলেন তিনি। এই সিরিজে এমন অবিশ্বাস্য ধারাবাহিকতার পেছনে মনোযোগ আর শট সিলেকশনের কৌশলকে বড় করে দেখছেন লিটন,  ‘এর আগেও আমি পারফরম্যান্স করেছি। একটা ম্যাচ খেলার পর একটু নির্ভার হয়ে যেতাম। একটা ম্যাচে তো রান করেছি, পরের ম্যাচেও রান হয়ে যাবে। এই সিরিজে আমি চিন্তা করেছি, প্রতিটা ম্যাচই নতুন। আউট হতে এক বলই যথেষ্ট। এবার অনেক ফোকাস ছিলাম। শট সিলেকশনেও সীমাবদ্ধ ছিলাম। আমি যে খুব উপরে দিয়ে মেরেছি পুরো সিরিজে তা কিন্তু না। বলের গুনাগুণ দেখে  খেলার চেষ্টা করেছি। মনোযোগটা ছিল বেশি।’

Post a Comment

0 Comments