কঠিন জয়ের ভালো দিকও দেখছেন অধিনায়ক | মাশরাফি বিন মুর্তজা


জিম্বাবুয়েকে ম্যাচে ফেরায় ওয়েসলি মাধেভেরে ও সিকান্দার রাজার ফিফটি। নয় নম্বরে নেমে ডনাল্ড টিরিপানোর বিধ্বংসী ইনিংসে জাগে দারুণ জয়ের স্বপ্ন।
শেষ ওভারে আল আমিন হোসেনকে যখন টানা দুই ছক্কায় ওড়ালেন টিরিপোনো, শেষ ২ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন তখন ৬।
আল আমিনের পঞ্চম বলটি অনায়াসেই হতো পারত ওয়াইড। টিভি রিপ্লে দেখে মনে হয়েছে, বল টিরিপানোর মাথার ওপর দিয়েই গিয়েছে। ওই বলে রান হয়নি। শেষ বলে এসেছে কেবল সিঙ্গেল। টিরিপানোর ২৮ বলে ৫৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস একটুর জন্য হতে পারেনি ম্যাচ জেতানো ইনিংস।
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বললেন, এমন জয় ভবিষ্যতের জন্য ভালো শিক্ষা।
“ভালো হয়েছে এটা যে এই ধরনের আঁসাঁট জয়, কাদের বিপক্ষে সেটা মুখ্য নয়, এ ধরনের কঠিন জয়, অনেক সময় বড় ম্যাচে সাহায্য করে। কোন ধরনের পরিস্থিতিতে নার্ভ কিভাবে কাজ করে, বোঝা যায়।”
অধিনায়কের দবি, জিম্বাবুয়ে ইনিংসের মাঝামাঝিই তারা বুঝতে পারছিলেন, কঠিন হয়ে পড়ছে বোলিং। কারণ, রাতের শিশির।
“যখন ওদের রান ১৪০ ছিল, সিকান্দার রাজা ব্যাট করছিল। অনেক শিশির পড়ছিল। উইকেটে গ্রিপ করছিল না। বল ব্যাটে আসছিল ভালো। বোলারদের শক্তির জায়গাগুলো কাজ করছিল না। আমার কাছে মনে হয়, এটা সমস্যা হয়েছে।”
মেহেদী হাসান মিরাজ ৭ ওভার বোলিং করে ২৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। অধিনায়ক জানালেন, শিশিরে কারণেই পূর্ণ করা যায়নি এই অফ স্পিনারের ১০ ওভার।
“আজ  শিশির বেশি ছিল। উইকেট ১০ ওভারের পর আরও বেশি ব্যাটিং বান্ধব হয়ে গিয়েছিল।”
“মিরাজের সামনে দুজন সেট ব্যাটসম্যান ছিল। ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিল, চার্জ করার সুযোগ বেশি ছিল। তাইজুলের আজকে সমস্যা হচ্ছিল। ওরা যেটাই চার্জ করছিল ডাউন দ্য উইকেটে এসে, ভালো সংযোগ হচ্ছিল। কারণ বল গ্রিপ করছিল না।”
“এ কারণে আমরা (মাহমুদউল্লাহ) রিয়াদকে দিয়ে চার ওভার কভার করেছি। তাইজুল ভালোভাবে ফিরে আসায় আর মিরাজের প্রয়োজন হযনি। আর শেষ দিকে পেস বোলারদের করিয়েছি। মিরাজকে দিয়ে করানোর সুযোগ ছিল না, কঠিন হয়ে যেত।”

Post a Comment

0 Comments